এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে চলমান সহিংসতায় সারা দেশে দুপুর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে দেশের কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে গণমাধ্যমকে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। পলক বলেন, আমরা কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ করিনি। বন্ধের কোনো নির্দেশও দেইনি। কোথাও কোথাও ইন্টারনেটের সমস্যা হচ্ছে। এটা আমাদের নির্দেশনার কারণে নয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল ও ইন্টারনেট পরিচালনার অনেক স্থাপনায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে। অনেক জায়গায় হামলা চলছে। ফাইবার ক্যাবল কেটে দেওয়া হচ্ছে। আজও আমাদের কয়েক জায়গায় আগুন দেওয়া হয়েছে। অনেক এলাকায় কেটে ফেলা হয়েছে। এমন তাণ্ডব চালালে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ করাতো সম্ভব নয়।
এদিকে আজ রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১টার পর গুজব প্রতিরোধে ফেসবুকসহ মেটার সব প্ল্যাটফর্ম বন্ধে একটি সরকারি সংস্থা নির্দেশ ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়েছে বলে জানা যায়। এরপর থেকে মোবাইল অপারেটরদের ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধে রয়েছে।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতার জেরে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে।
আর ১০ দিন পর গত ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। এরপর গত ৩১ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো চালু করা হয়।